ছিন্নমূল সময়ের তোড়ে,
অভ্যাসবশত অস্থিরতার অসহ্য ঘোরে
মৃদু করুণ দুখের সুর বেজে ওঠে সত্তার গহীন ভেতরে।
সবকিছু নড়েচড়ে ওঠে
সারাক্ষণ অপরিচিত মেসেজের দাপটে
ক্লান্তিকর দিন শেষ হয়ে আসে।
জল নড়ে ওঠে ঢিলের খোঁচায়,
তোমার মেঘ ঘন মুখখানি মনে পড়ে যায়।
অন্ধকার আরো গাঢ় হয়ে আসে
চাঁদ চলে যায় মেঘের পাশে।
একুশে এপ্রিলের সেই নয়টা বারো মিনিটের রাতে
শেষ দেখা হয় তোমার সাথে।
সিঁড়ি বেয়ে আমি নামতে থাকি ক্রমশ নিচে,
আবছায়া ঘোর তোমার মুখে
ভাবনি তুমি
কে স্বজন?
কাকে ফেলে দিলে বিনা জিজ্ঞাসায়
মনের দৃঢ়তার এ অসুখে!
ভুলে গেলে মানুষ সত্য
বেলা শেষে।
শেষাশেষি, কার কি পূর্ণ হবে
মত - অমতের দোটানা দহনে।
তখন সুদর্শন, ঝড় টেনে আনে।
ঝড়ের প্রচণ্ড কাননে
কে কোন দিকে যাবে
নাবিক কি জানে?
আজকাল বেলাশেষে ক্লান্তি লাগে,
মনের অতলে
শীতল হৃদয় মহলে
কি যেন একটা কেঁপে-কুপে ওঠে।
তাই হঠাৎ সহসা উল্টে যায় স্মৃতির সে সব পাতা।
জাফরানের ঘ্রাণের মত আমাদের কত কথা
আজ সবই শুধু স্মৃতির বিষম পাতা।
আর আমাদের না বলা কথা
শতাব্দীর বিবর্ণ ঘোরে
বাতাস বিদীর্ণ করে।
সুরঞ্জনা,
তুমি — অমি ক্রমশ রচে যাই
দূরত্ব রচনা।